একটা এলার্মিং আলাপ করি - আতিকুর রহমান

 গত কয়েক সপ্তাহে আমার বেশ কয়েকটি জব ভ্যাকেন্সি ছিলো, এখনো একটা চলমান। সংগত কারণেই কয়েক শত এপ্লিক্যান্ট এর প্রোফাইল দেখার সুযোগ হয়েছে।

এদের মধ্যে প্রায় ৫০% এর উপরে আসলেই যোগ্যতাসম্পন্ন। আর অধিকাংশ ইঞ্জিনিয়ার বেশ কয়েক মাস ধরে বেকার। ধরুন ২-৬ মাস এমন।
কারণ কি? হুট করেই তাঁদের কোম্পানিগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং টীম লে-অফ করে দিছে। এদের ভেতরে বেশ কিছু সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করা কোম্পানিও আছে।
অনেক কোম্পানি ইনভেস্টর এর ফান্ড বার্নিং করার জন্য, গ্রোথ এর বদলে চাকচিক্যময় অফিস কিংবা উচ্চাভিলাষী কর্মী সুবিধার দিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। আবার অনেক ব্যক্তি শুধুমাত্র "ফ্রিল্যান্স" প্রজেক্টের উপর ভিত্তি করে একটা অফিস
দিয়ে ফেলেন। এরপর অফিসে কর্মরত ব্যক্তিদের বেতন তুলতেই হিমশিম খেতে হয়, অবশেষে লে-অফ।

আপনি যদি আইটি উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান, তাহলে অবশ্যই -

 

  • নিশ্চিত হোন যে, ১২ মাসের অপারেটিং খরচ মজুদ আছে। এইটা আপনার রিস্কি ইনভেস্টমেন্ট, যেটা হারায়ে গেলে আপনার গায়ে লাগবে না।
  • নিশ্চিত হোন যে, আপনি আপনার নব-প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিতে ফুল টাইম কাজ করতে পারবেন। আপনার কোম্পানি কখনোই সাইড জব হতে পারে না।
  • পারলে পাবলিসিটি এড়িয়ে চলুন। আকাশে চাঁদ উঠলে সবাই দেখতে পাবে একটা সময়।
  • ইনভেস্টরের ফান্ড নেয়ার সময় লুকোচুরি করে ভ্যালু বাড়াবেন না। এতে স্টার্টআপ ইন্ডাস্ট্রিতে ভবিষ্যতে আর কেউ বিনিয়োগ করতে চাইবে না।

আর আপনি একজন ব্যক্তি হিসেবে কোন কোম্পানিতে জয়েন করার পূর্বে অবশ্যই তাদের বর্তমান প্রোডাক্ট কি, কেমন। ক্লায়েন্ট বেইজ কোথায়। সব কিছু মিলিয়েই একটা সিদ্ধান্ত নিবেন।

আমাদের ব্যাংকগুলোর CSR ফান্ডস থেকে Digital Startup কে ২-৪% প্রোফিট হারে বিনিয়োগ করতে বাধ্য করা উচিৎ। এইটা করলে, বাংলাদেশেরই ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে ইনশাআল্লাহ।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন